প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

সভাপতির বাণী

image-not-found

আস্‌সালামু আলাইকুম, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। অত্র পিছিয়ে পড়া এলাকার নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বিনাহালী গ্রামের আমর বাবা জনাব মোঃ সোলায়মান আলী (মজনু) মরহুম মকলেছার রহমান সহ বেশ কয়েক জন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের জমিদার ও সার্বিক সহযোগীতায় বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৮৮ খ্রি: বেড়া ও মাটির তৈরি ঘর নিয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সন্তোষজনক ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধমে বিদ্যালয়টি আজ পরিপুর্ণতা সফলতা লাভ করেছে। বিদ্যালয়টিতে ১টি দ্বিতল ভবন, ১টি একতলা ভবন, ছাত্রী কমন রুম বিজ্ঞানাগার গ্রন্থাগার ২টি মাঠ (ইনডোর ও আউট ডোরের জন্য আলাদা আলাদা), ১২ টি টয়লেট, ১টি ফলজ বাগান WiFi সংযোগ সীমানা প্রাচীরসহ সকল আধুনিক সেবার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানটি এডহক কমিটির সুনিবিড় তত্ত্বাবধানে এবং দক্ষ প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে এক ঝাঁক মেধাবী, দক্ষ ও খ্যাতিমান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এস.এস.সি-২০২৫ পরীক্ষায় ৯4% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ ও মোট পরীক্ষার্থীর ৩০% এ প্লাস পেয়েছে। সম্মানিত অভিভাবক, এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শুভানুধ্যায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা আমি একান্ত ভাবে কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে
মো: জুয়েল আলী
সভাপতি , বিনাহালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়,
আদমদীঘি, বগুড়া।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

আসসালামু আলাইকুম, শিক্ষিত নারী পারে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে আর প্রত্যেক নারীরই সুশিক্ষিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই লক্ষ্যে বগুড়া জেলার একে বারে শেষ প্রান্তে স্থাপিত হয় ‘বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’, অত্র পল্লী গ্রামগুলোর নারীদের সুশিক্ষিত করে এলাকায় শিক্ষার হার বুদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন মরহুম মকলেছার রহমান, সোলায়মান আলী (মজনু) মরুহুম রউচ উদ্দীন মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। তাদের অক্লান্ত মেধাও কায়িক শ্রম এর উল্লেখিত ব্যক্তিগণ সহ এলাকার কিছু দানশীল পুরুষ ও মহিলার আন্তরিকতায় গড়ে ওঠে এই সুনামধন্য বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ০২-০১-১৯৮৮ খ্রি. হইতে অদ্যাবধি এলাকার নারী শিক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতি বছর ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে সফলতা লাভ করে আসছে। আগামীতে আমার লক্ষ্য ঝড়ে পরা রোধ, এস.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ এ প্লাসের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। যেসব ব্যক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করে অত্র এলাকায় নারী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। যাঁরা জীবিত আছেন তাঁদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
পরিশেষে বিদ্যালয়ের আরো বেশি সফলতা কামনা এবং সাবেক ও বর্তমান কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল অংশিজনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
মোঃ আমজাদ হোসেন, বি.এস-সি, বি.এড ।
প্রধান শিক্ষক, বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
আদমদীঘি, বগুড়া।